বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, আমদানি করা হচ্ছে, তাহলে লোডশেডিং থাকে কেন?
Sign Up to our social questions and Answers Engine to ask questions, answer people's questions, and connect with other people.
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
ঋণাত্মক পাই
আমাদের অনেকের মনে একটা কমন প্রশ্ন, দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড করছে, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনা হচ্ছে, তবু লোডশেডিং থাকে কেন? যে যাকে পাচ্ছে দোষারোপ করে যাচ্ছে। সবাই শুধু সাফাই গাইতেই ব্যস্ত।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য মতে বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৬ টি, উৎপাদন ক্ষমতা ২২৫৬২ মেগাওয়াট। গত কয়েকদিন আগে পত্রিকায় দেখলাম, সরকারকে পাওয়ার প্ল্যান্ট বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। এ জন্য সেই প্রতিষ্ঠানকে মোটা অংকের টাকা ও দিতে হয়। যদিও নিয়মের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো, এত পাওয়ার প্ল্যান্ট বসে রাখা হয়েছে কেন? তাহলে অবশ্যই আমাদের বিদ্যুৎ লাগতেছেনা, তাই বন্ধ করে রাখা হয়েছে। নতুবা কেউ বসিয়ে রেখে টাকা কেনো দিতে যাবে। তাহলে ব্যপারটা দাড়ালো বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর অন্য কোন কারন অবশ্যই রয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের পর তা আসে ট্রান্সমিশন লাইনে। পিজিসিবি দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করার জন্য , কোয়ালিটি বিদ্যুৎ জনগনকে দেওয়ার জন্য অনেক গ্রীড সাবষ্টেশন করেছে। ৪০০ কেভি গ্রীড, ২৩০ কেভি গ্রীড, ১৩২ কেভি গ্রীড প্রয়োজন মতই আছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য মতে, গ্রীড সাবষ্টেশনের ক্ষমতা ৪১১৯৫ এমভিএ। যার ফলে উৎপাদিত বিদ্যুৎকে পরিবহনে কোন সমস্যা নেই।
বাকি থাকলো, ডিষ্ট্রিবিউশন বা বিতরন লাইন। বাংলাদেশে পিডিবি, নেসকো, ডেসকো সহ অনেক প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎ বিতরন করে আসছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, গ্রীড বেড়েছে, সে অনুপাতে ডিস্ট্রিবিউশন সাবষ্টেশনও বেড়েছে। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ বিতরন লাইন নিয়ন্ত্রন করে এই সাবষ্টেশন গুলো। কারন, তাদের একবারে গ্রাম পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয়। মাথায় রাখতে হবে, গত ১০ বছরে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৩ কোটি ৫১ লক্ষ, সেচ সংযোগ বেড়েছে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার। এখন এত সংযোগ বাড়লে, সেটা বিতরণ করার সক্ষমতা তো থাকতে হবে।
আগেই বলেছি, তাদের বিদ্যুৎ নেটওয়ার্কটা বিশাল। তাই নতুন লাইনের ক্ষেত্রে তারা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন লাইন ব্যবহার করছে, কিন্তু পুরাতন লাইন তো এত কারেন্ট নিতে সক্ষম না। আর রিকন্ডাক্টিং করা তো এত সহজও না। কারন, লাইন শুধু একটা এলাকায় না, পুরো বাংলাদেশেই। ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গুলো রিকন্ডাক্টিং এর কাজও শুরু করেছে। নতুবা সাবষ্টেশন সংখ্যা বাড়াচ্ছে।
একটা কথা বলে রাখা ভালো। লোড শেডিং এ সাধারন জনগনও অনেকটা দায়ী। কোন এলাকয় যখন বলা হয়, রিকন্ডাক্টিং এর কারনে ২-৩ দিন বিদ্যুৎ থাকবে না। তার কারনে পরবর্তীতে লোডশেড কম হবে। তারা সহযোগীতার বদলে উল্টো বাধা দেয়। তারা লোড শেডিং রাজি, কিন্তু ২-৩ দিন বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে রাজি না।