জেনারেটিং স্টেশনের সহিত সংযোগ সাধনকারী মোটা পরিবাহীকে ফিডার বলে, যার কোন ট্যাঁপিং থাকেনা। পক্ষান্তরে গ্রাহকের সার্ভিস মেইনের সহিত সংযোগ সাধনকারী ট্যাঁপিং যুক্ত পরিবাহীকে ডিস্ট্রিবিউটর বলে, যার সমস্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কারেন্টের মান বিভিন্ন হয়।
জেনারেটিং স্টেশনের সহিত সংযোগ সাধনকারী মোটা পরিবাহীকে ফিডার বলে, যার কোন ট্যাঁপিং থাকেনা। পক্ষান্তরে গ্রাহকের সার্ভিস মেইনের সহিত সংযোগ সাধনকারী ট্যাঁপিং যুক্ত পরিবাহীকে ডিস্ট্রিবিউটর বলে, যার সমস্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কারেন্টের মান বিভিন্ন হয়।
অন্যান্য সার্কিট ব্রেকারের মতো ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এগুলো হলো- চিত্রঃ ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার সুবিধাঃ ১. এটি দৃঢ়, বিশ্বস্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী। ২. আগুন লাগার ভয় নেই। ৩. অপারেশনের সময় এবং পরে গ্যাস উৎপন্ন হয় না। ৪. যেকোন ত্রুটিপূর্ণ কারেন্টে এটি অপারেট করে। ৫. মেRead more
অন্যান্য সার্কিট ব্রেকারের মতো ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এগুলো হলো-
চিত্রঃ ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার
সুবিধাঃ
১. এটি দৃঢ়, বিশ্বস্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী।
২. আগুন লাগার ভয় নেই।
৩. অপারেশনের সময় এবং পরে গ্যাস উৎপন্ন হয় না।
৪. যেকোন ত্রুটিপূর্ণ কারেন্টে এটি অপারেট করে।
৫. মেরামত খরচ কম এবং এটি অপারেশন সহজ।
৬. লাইটনিং সার্জে ও ভাল কাজ করে।
৭. আর্ক কম হয়।
৮. নিয়ন্ত্রণ মেকানিজমের জন্য কম পাওয়ার লাগে।
৯. নীরব অপারেশন।
১০. ডাই ইলেক্ট্রিক এবং কন্টাক্ট রেজিস্ট্যান্স স্থির থাকে।
অসুবিধাঃ
১. ভ্যাকুয়ামের মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপণ ব্যয়বহুল।
২. ভ্যাকুয়াম কোন কারণে ফেল করলে মেরামত করা কঠিন।
৩. কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে কন্টাক্টদ্বয়ের মাথা ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে সমমান হলে ডাই-ইলেক্ট্রিক স্ট্রেংথ কমে যায়।
৪. ৩৬ KV এর উপরে এটি ব্যবহার সুবিধাজনক নয়।
ওমেগা আলফা-৩ ও ওমেগা আলফা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়। সরিষার তেলের কিছু গুণাগুণ হলোঃ ত্বকের তামাটে ভাব দূর করেঃ সরিষার তেল ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূর করে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে পারে। এ জন্য বেসন, দই, সরিষারRead more
ওমেগা আলফা-৩ ও ওমেগা আলফা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়।
সরিষার তেলের কিছু গুণাগুণ হলোঃ
ত্বকের তামাটে ভাব দূর করেঃ
সরিষার তেল ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূর করে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে পারে।
এ জন্য বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগান।
প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনঃ
সরিষার তেল খুব ঘন হয় এবং এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকে। এই তেল ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। তাই এটি ত্বকের ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে।
চুলের বৃদ্ধিতে সহায়কঃ
সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে এতে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-এতে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতি রাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করে লাগালে চুল কালো হয়।
গণকযন্ত্র বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে। কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট (compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্Read more
গণকযন্ত্র বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে।
কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট (compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।
বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সূচনা হয় ষাটের দশকে এবং নববই-এর দশকে তা ব্যাপকতা লাভ করে। দশকের মধ্যভাগ থেকে এ দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার।Read more
বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সূচনা হয় ষাটের দশকে এবং নববই-এর দশকে তা ব্যাপকতা লাভ করে। দশকের মধ্যভাগ থেকে এ দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার। এটি ছিল আইবিএম (International Business Machines – IBM) কোম্পানির 1620 সিরিজের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)। যন্ত্রটির প্রধান ব্যবহার ছিল জটিল গবেষণা কাজে গাণিতিক হিসাব সম্পন্নকরণ।
ষাটের দশকে দেশে ও বিদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ ব্যাংক-বীমা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্রুত প্রসার ঘটতে শুরু করে; এবং এজন্য রুটিন হিসাবের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি প্রয়োজন হয়ে পড়ে হিসাবে দ্রুততা আনয়নের। বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে হিসাব পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। এসময় দেশের কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ব্যয়বহুল মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করে। ষাটের দশকের শেষ দিকে তদানীন্তন হাবিব ব্যাংক IBM 1401 কম্পিউটার এবং ইউনাইটেড ব্যাংক IBM 1901 কম্পিউটার স্থাপন করে। প্রধানত ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব-নিকাশের জন্য ব্যবহূত এসব কম্পিউটার ছিল তৃতীয় প্রজন্মের মেইনফ্রেম ধরনের।
স্বাধীনতার পূর্বে, ১৯৬৯ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে স্থাপিত হয় একটি IBM 360 কম্পিউটার। আদমজী জুট মিলেও এ সময় একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপিত হয়েছিল। সীমিত পরিসরে হলেও স্বাধীনতা পূর্বকালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল প্রভৃতি বিষয়ের পাঠ্যক্রমে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার-এর অন্তর্ভুক্তি শুরু হয়। ১৯৭২-এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নামক প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয় IBM 370, IBM 9100 এবং IBM 4341 প্রভৃতি বৃহৎ কম্পিউটার।
অনেক ক্ষেত্রে 'অনুসরণ' ও 'অনুকরণ' শব্দ দুটিকে সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে শব্দ দুটির বিশদ ব্যবহারে কিছুটা পার্থ্যক্য রয়েছে। অনুকরণ হচ্ছে 'অনুরূপ-করণ'। সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে রকম কাজ করে, ঠিক একই রকম কাজ করাই হচ্ছে অনুকরণ। অর্থাৎ, 'নকল' বা 'সদৃশীকরণ' অর্থে 'অনুকরণ' শব্দটি ব্যবহRead more
অনেক ক্ষেত্রে ‘অনুসরণ’ ও ‘অনুকরণ’ শব্দ দুটিকে সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে শব্দ দুটির বিশদ ব্যবহারে কিছুটা পার্থ্যক্য রয়েছে।
অনুকরণ হচ্ছে ‘অনুরূপ-করণ’। সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে রকম কাজ করে, ঠিক একই রকম কাজ করাই হচ্ছে অনুকরণ।
অর্থাৎ, ‘নকল’ বা ‘সদৃশীকরণ’ অর্থে ‘অনুকরণ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অনুকরণ করা ভালো নয়। এটি নেতিবাচকভাবে দেখা হয়।
পরীক্ষার হলে কারও খাতা দেখে অবিকল বা প্রায় অবিকল লেখা অনুকরণের পর্যায়ে পড়ে। আবার, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে কাজ করে, সেই চিন্তা-চেতনা অনুকরণ করাই হচ্ছে ‘অনুসরণ’।
অনুসরণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক দিয়েও কিছুটা ব্যাখ্যা করা যায়। ‘অনুগমন’ অর্থে ‘অনুসরণ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
অনুসরণ, চিন্তার সঙ্গে নতুন চিন্তা যুক্ত করে। তাই এটি ইতিবাচক। উত্তরটি ভাল লাগলে অবশ্যই ভোট করবেন। ধন্যবাদ।
SQL এর পূর্ণরূপ হলো Structured Query Language. SQL এর মূল সংগঠন তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা- 1. Select : Select কমান্ড লিখে তার পর বিভিন্ন ফিল্ডের নামগুলাে উল্লেখ করতে হয়। 2. From : যে ফাইল হতে রেকর্ড উত্তোলন করতে হয় সে ফাইলের নাম From এর পর উল্লেখ করতে হয়। 3. Where : Where কমান্ডের মাধ্যমে শর্ত উলRead more
SQL এর পূর্ণরূপ হলো Structured Query Language.
SQL এর মূল সংগঠন তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা-
1. Select : Select কমান্ড লিখে তার পর বিভিন্ন ফিল্ডের নামগুলাে উল্লেখ করতে হয়।
2. From : যে ফাইল হতে রেকর্ড উত্তোলন করতে হয় সে ফাইলের নাম From এর পর উল্লেখ করতে হয়।
3. Where : Where কমান্ডের মাধ্যমে শর্ত উল্লেখ করতে হয়।
ডেল্টা সংযোগের সুবিধা: ক) অধিক পাওয়ার এবং অধিক কারেন্ট সম্পন্ন লোডের পরিচালনার ক্ষেত্রে র্ডেটা সংযোগ ব্যবহার করা হয়। খ) ডেল্টায় সংযুক্ত মোটর অধিক পাওয়ার গ্রহণ করে অধিক টর্ক উৎপন্ন করে চলতে পারে। গ) একই লোডে স্টারের পরিবর্তে ডেল্টায় যুক্ত করলে কম পাওয়ার গ্রহণ করে। ঘ) পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নয়নের জন্য ডেলRead more
ডেল্টা সংযোগের সুবিধা:
ক) অধিক পাওয়ার এবং অধিক কারেন্ট সম্পন্ন
লোডের পরিচালনার ক্ষেত্রে র্ডেটা সংযোগ
ব্যবহার করা হয়।
খ) ডেল্টায় সংযুক্ত মোটর অধিক পাওয়ার গ্রহণ
করে অধিক টর্ক উৎপন্ন করে চলতে পারে।
গ) একই লোডে স্টারের পরিবর্তে ডেল্টায়
যুক্ত করলে কম পাওয়ার গ্রহণ করে।
ঘ) পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নয়নের জন্য ডেল্টায় সংযুক্ত
ক্যাপাসিটর ব্যাংকের প্রতি ফেজের
ক্যাপাসিটেন্সের মান কম হয় এবং খরচ কম হয়।
ডেল্টা সংযোগের অসুবিধা:
ক) ডেল্টা সংযোগে কোন নিউট্রাল পয়েন্ট
থাকে না।
খ) ডেল্টায় কারেন্ট বেশি বিধায় অল্টারনেটরের
কয়েল মোটা তারের হতে হয়।
গ) ডেল্টা সংযোগে অল্টারনেটর , ট্রান্সফরমার
ওয়াইন্ডিং-এ তামার পরিমাণ বেশি লাগে ফলে খরচ
বেশি।
স্টার সংযোগের সুবিধা:
ক) স্টার সংযুক্ত সার্কিটে নিউট্রাল পয়েন্ট থাকায়
প্রয়োজনবোধে নিউট্রাল তার ব্যবহার করা যায়।
খ) স্টার সংযুক্ত লোডে , তার ব্যবহার করে ও
লোড পরিচালনা করা যায়।
গ) স্টার সংযুক্ত অল্টারনেটরের তার চিকন হলেই
চলে।
ঘ) স্টার সংযুক্ত সার্কিটের আউটপুটে বেশি
ভোল্টেজ পাওয়া যায়।
স্টার সংযোগের অসুবিধা:
ক) অধিক পাওয়ার এবং কারেন্ট সম্পন্ন লোড
পরিচালনার জন্য স্টার সংযোগ ব্যবহার যায় না।
খ) কম কারেন্ট পাওয়া যায়।
মোটর একটি মেশিন, যার সাহায্যে ইলেকট্রিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় তাকে মোটর বলে। আবার যে মোটর AC কারেন্ট দ্বারা চলে তাকে এ. সি. মোটর বলে। AC মোটর দুই প্রকার। যথাঃ ১। সিনক্রোনাস মোটর ২। ইন্ডাকশন মোটর আবার ইন্ডাকশন মোটর দুই প্রকার। ১। স্কুইরেল কেজ ইন্ডাকশন মোটর ২। স্লিপ-রিং ইন্ডাকশনRead more
মোটর একটি মেশিন, যার সাহায্যে
ইলেকট্রিক শক্তিকে যান্ত্রিক
শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় তাকে
মোটর বলে। আবার যে মোটর AC
কারেন্ট দ্বারা চলে তাকে এ. সি.
মোটর বলে।
AC মোটর দুই প্রকার। যথাঃ
১। সিনক্রোনাস মোটর
২। ইন্ডাকশন মোটর
আবার ইন্ডাকশন মোটর দুই প্রকার।
১। স্কুইরেল কেজ ইন্ডাকশন মোটর
২। স্লিপ-রিং ইন্ডাকশন মোটর
০২ এর উত্তরঃ
ইন্ডাকশন মোটর নিচের অংশগুলো
দ্বারা গঠিত। যেমন-
১। স্টাটর
২। রোটর
৩। বিয়ারিং
৪। কুলিং ফ্যান
৫। ইয়োক
৬। টার্মিনাল বক্স
৭। নেম প্লেট
৮। এন্ড কভার
৯। বেড প্লেড
১০। শ্যাফট
১১। প্রিলোডিং রিং
১২। ফিটিং স্ক্রু
১৩। গ্রিজ পয়েন্ট
SAS এর পূর্ণ রুপ হলো Substation Automation System । এটি এখন নতুন যে কোন গ্রীড বা পাওয়ার সিস্টেমে হরহামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি ও এর কারনে খরচ বাড়ছে, কিন্তু পরিশ্রম কমছে। এটা মূলত স্বয়ংক্রিয় ভাবে পাওয়ার সিস্টেমে নিয়ন্ত্রন, পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারনত SAS, IntelRead more
SAS এর পূর্ণ রুপ হলো Substation Automation System । এটি এখন নতুন যে কোন গ্রীড বা পাওয়ার সিস্টেমে হরহামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি ও এর কারনে খরচ বাড়ছে, কিন্তু পরিশ্রম কমছে। এটা মূলত স্বয়ংক্রিয় ভাবে পাওয়ার সিস্টেমে নিয়ন্ত্রন, পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সাধারনত SAS, Intelligent electronic devices (IED) এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পাওয়ার সিস্টেমে নিয়ন্ত্রন, পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য সংরক্ষনের কাজ করে থাকে।
SAS এর মাধ্যমে পুরো সাবষ্টেশনকে একটি কম্পিউটারের মাঝে আনা হয়। আপনি কম্পিউটার থেকে সার্কিট ব্রেকার, আইসোলেটর , ট্রান্সফরমার সবকিছু নিয়ন্ত্রন করা হয়ে থাকে। আপনার ক্লিক করে যেকোন ডিভাইসকে অন অফ করতে পারছেন। এছাড়া আপনার কম্পিউটারের মনিটরে যন্ত্রপাতির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে পারবেন। রিলে ফল্ট, প্রটেকশন ফল্ট, ওভারকারেন্ট ফল্ট সহ যে কোন টাইপের ফল্ট মনিটরে আপনি সহজেই দেখতে পারবেন। কোন প্যানেলে এই ফল্ট দেখা দিয়েছে, সেটাও আপনি দেখতে পারবেন।
এছাড়া কোন লাইনে বা ট্রান্সফরমারে বা কোন ফিডারে কত ভোল্টেজ, কারেন্ট, ফ্রিকুয়েন্সি সহ আরও অনেক তথ্য মনিটরেই দেখতে পারবেন। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে যদি আমরা কোন ডাটাকে সেভ করতে চাই, সেটাও করা সম্ভব। অটোমেটিক ভাবে এটি ডাটা সংরক্ষন করে থাকে। এছাড়া যদি আমাদের কয়েক বছর আগেরও ডাটা প্রয়োজন হয়, তবু ও আবার কোন নির্দিষ্ট সময়ের, কার্ভের মাধ্যমে তা কয়েক মিনিটেই বের করে দেওয়া সম্ভব।
এছাড়া এটির সাহায্যে কেন্দ্রীয় ভাবে মনিটরিং ও করা সম্ভব। যেমনঃ আমাদের দেশে লোড মনিটরিং করে এনএলডিসি। চাইলে এনএলডিসি ও ঢাকায় বসে যে কোন ধরনের অপারেশন করতে পারবে তাদের নিজেদের প্রয়োজন মত। এটি একই সাথে কমিউনিকেশনেও কাজ করছে।
এটি এখন বাংলাদেশে নতুন গ্রীডগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আমরা অনেকেই মনে করি যে, সমান মানের এসি এবং ডিসি ভোল্টেজের শকের তীব্রতা একই হবে। আবার অনেকেই মনে করেন ডিসি কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হবে এসি কারেন্টের তুলনায়। কারন এসি কারেন্ট এ ফ্রিকুয়েন্সির জন্য নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা সহজ কিন্তু ডিসিতে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু আসল তথ্য হচ্ছে এসি কারেন্টের শকই বেশী অনুভূতRead more
আমরা অনেকেই মনে করি যে, সমান মানের এসি এবং ডিসি ভোল্টেজের শকের তীব্রতা একই হবে। আবার অনেকেই মনে করেন ডিসি কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হবে এসি কারেন্টের তুলনায়। কারন এসি কারেন্ট এ ফ্রিকুয়েন্সির জন্য নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা সহজ কিন্তু ডিসিতে সেটা সম্ভব নয়।
কিন্তু আসল তথ্য হচ্ছে এসি কারেন্টের শকই বেশী অনুভূত হয় এবং বেশী প্রাণঘাতী এবং সেটা সেই ফ্রিকুয়েন্সির কারনেই। চলুন তাহলে দেখা যাক এর পেছনের কারন।
ইলেকট্রিক শক হলো একধরনের অনুভূতি যা আমাদের দেহের কোন অংশের ভেতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হবার কারনে ঘটে থাকে। এই শকড এর পরিমান নির্ভর করে বেশ কিছু ফ্যাক্টরের উপর। যেমন কারেন্টের ধরণ(ডিসি/এসি), ফ্রিকোয়েন্সি, ভোল্টেজ এর মাত্রা, দেহের কোন অংশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, প্রবাহের সময় এসব। 50/60Hz এর AC শকের অনুভূতি DC এর তুলনায় ৫গুন বেশী।
আবার 50/60Hz এর AC শকের অনুভূতি 5000Hz এর AC কারেন্টের চেয়ে ৬ গুন বেশী এবং ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ার সাথে সাথে শকড এর অনুভূতি কমতে থাকে।
এর কারন হলো পেশী নড়াচড়া করার জন্য আমাদের ব্রেইন স্নায়ুকোষের মাধ্যমে লো ফ্রিকুয়েন্সির ইলেকট্রিক সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকে। আবার মানুষের হার্ট 60-100Hz ফ্রিকোয়েন্সিতে স্পন্দিত হয় যা ব্রেইন থেকে ইলেকট্রিক সিগনালের মাধ্যমে হার্টে পৌছে। তাই 50-60Hz এর কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হয় কারন এটা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রের সিগন্যালিংকে বাধাগ্রস্থ করে!
ফলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহে আপনি আপনার পেশীর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবেন।
সেক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছা থাকলেও বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন না। আর হার্টের ভেতর দিয়ে 50-60Hz এর নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ আপনার হার্টের নিয়মিত স্পন্দনকে নষ্ট করে দিবে যার ফলাফল হলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এ মৃত্যু।
তাই 50-60Hz AC কারেন্ট থেকে সবসময় সাবধান। সমান ভোল্টেজের ডিসি কারেন্ট থেকে এসি বিপজ্জনক হবার আরেকটি কারন হলো মানবদেহের ত্বক এবং গ্রাউন্ড ক্যাপাসিটেন্স এর মত কাজ করে। এই গুণের কারনে AC কারেন্ট ত্বক থেকে গ্রাউন্ডে সহজে প্রবাহিত হতে পারে কিন্তু DC কারেন্ট বাধাপ্রাপ্ত বেশী হয়।
উপরের চার্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন সমপরিমান AC কারেন্ট অধিক বিপজ্জনক। ১৫০ পাউন্ড ওজনের এক ব্যক্তির পেইনফুল শকের জন্য 62mA DC কারেন্ট লাগে যেখানে AC এর ক্ষেত্রে সেটা মাত্র 9mA ই যথেষ্ট। আবার ফ্রিকোয়েন্সি 10KHz হলে সেটা হবে 55mA।
কারেন্ট প্রবাহে মানবদেহের মোট রেজিস্ট্যান্সের ৯৯% ই থাকে ত্বকে। মানবদেহের ড্রাই রেজিস্ট্যান্স যেখানে ১০০০০০ ওহম সেখানে দেহের ভেতরের রেজিস্ট্যান্স মাত্র ৩০০ ওহম। ত্বকে কোন ক্ষতের কারনে কারেন্ট দেহের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হলে তার পরিমাণ হবে অনেক এবং সেই শকড হবে বিপজ্জনক। হাই ভোল্টেজ AC এবং DC উভয়ই ত্বকের ব্রেকডাউন ঘটিয়ে ফেলে এবং দেহের ভেতর দিয়ে অধিক পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হয় যা বিপজ্জনক।
আর একটি ব্যাপার আপনারা সবই ই জানেন যে, এসি ভোল্টেজ / কারেন্ট পরিমাপ করা হয় rms এ। কিন্তু ডিসি পরিমাপ করা হয় পিক অথবা ম্যাক্সিমাম ভেলুতে।
আমরা জানি, V(peak) = 1.4142* V(rms)
এজন্য বলা যায় একজন ব্যাক্তি যদি ডিসিতে ২২০V এ শক খায়, সে ২২০V এ ই শক খাবে। কিন্তু একজন ব্যাক্তি যদি এসিতে ২২০V এ শক খায়, সে সর্বোচ্চ ১.৪১৪২*২২০V = ৩১১V এ ই শক খাবে। আর ৩১১V তো ২২০ থেকে ডেফিনেটলি বড়। এজন্য এখানে ও বলা যায় যে, ডিসি থেকে এসি বেশি বিপজ্জনক।
ডিস্ট্রিবিউটর ও ফিডার এর মাঝে পার্থক্য কি?
ঋণাত্মক পাই
জেনারেটিং স্টেশনের সহিত সংযোগ সাধনকারী মোটা পরিবাহীকে ফিডার বলে, যার কোন ট্যাঁপিং থাকেনা। পক্ষান্তরে গ্রাহকের সার্ভিস মেইনের সহিত সংযোগ সাধনকারী ট্যাঁপিং যুক্ত পরিবাহীকে ডিস্ট্রিবিউটর বলে, যার সমস্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কারেন্টের মান বিভিন্ন হয়।
জেনারেটিং স্টেশনের সহিত সংযোগ সাধনকারী মোটা পরিবাহীকে ফিডার বলে, যার কোন ট্যাঁপিং থাকেনা। পক্ষান্তরে গ্রাহকের সার্ভিস মেইনের সহিত সংযোগ সাধনকারী ট্যাঁপিং যুক্ত পরিবাহীকে ডিস্ট্রিবিউটর বলে, যার সমস্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কারেন্টের মান বিভিন্ন হয়।
See lessভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো কী কী?
ঋণাত্মক পাই
অন্যান্য সার্কিট ব্রেকারের মতো ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এগুলো হলো- চিত্রঃ ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার সুবিধাঃ ১. এটি দৃঢ়, বিশ্বস্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী। ২. আগুন লাগার ভয় নেই। ৩. অপারেশনের সময় এবং পরে গ্যাস উৎপন্ন হয় না। ৪. যেকোন ত্রুটিপূর্ণ কারেন্টে এটি অপারেট করে। ৫. মেRead more
অন্যান্য সার্কিট ব্রেকারের মতো ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকারের ও কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এগুলো হলো-
চিত্রঃ ভ্যাকুয়াম সার্কিট ব্রেকার
সুবিধাঃ
১. এটি দৃঢ়, বিশ্বস্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী।
২. আগুন লাগার ভয় নেই।
৩. অপারেশনের সময় এবং পরে গ্যাস উৎপন্ন হয় না।
৪. যেকোন ত্রুটিপূর্ণ কারেন্টে এটি অপারেট করে।
৫. মেরামত খরচ কম এবং এটি অপারেশন সহজ।
৬. লাইটনিং সার্জে ও ভাল কাজ করে।
৭. আর্ক কম হয়।
৮. নিয়ন্ত্রণ মেকানিজমের জন্য কম পাওয়ার লাগে।
৯. নীরব অপারেশন।
১০. ডাই ইলেক্ট্রিক এবং কন্টাক্ট রেজিস্ট্যান্স স্থির থাকে।
অসুবিধাঃ
See less১. ভ্যাকুয়ামের মাধ্যমে অগ্নি নির্বাপণ ব্যয়বহুল।
২. ভ্যাকুয়াম কোন কারণে ফেল করলে মেরামত করা কঠিন।
৩. কিছুদিন ব্যবহার করার ফলে কন্টাক্টদ্বয়ের মাথা ক্ষয় হয়ে যাওয়ার কারণে সমমান হলে ডাই-ইলেক্ট্রিক স্ট্রেংথ কমে যায়।
৪. ৩৬ KV এর উপরে এটি ব্যবহার সুবিধাজনক নয়।
সরিষার তেলের উপকারিতা কী?
ঋণাত্মক পাই
ওমেগা আলফা-৩ ও ওমেগা আলফা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়। সরিষার তেলের কিছু গুণাগুণ হলোঃ ত্বকের তামাটে ভাব দূর করেঃ সরিষার তেল ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূর করে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে পারে। এ জন্য বেসন, দই, সরিষারRead more
ওমেগা আলফা-৩ ও ওমেগা আলফা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সমৃদ্ধ উৎস হওয়ায় সরিষার তেলকে স্বাস্থ্যকর তেল বলা হয়।
সরিষার তেলের কিছু গুণাগুণ হলোঃ
ত্বকের তামাটে ভাব দূর করেঃ
সরিষার তেল ত্বকের তামাটে ভাব ও দাগ দূর করে এবং ত্বককে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বল করতে পারে।
এ জন্য বেসন, দই, সরিষার তেল ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মিশ্রণটি আপনার ত্বকে লাগান।
প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনঃ
সরিষার তেল খুব ঘন হয় এবং এতে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ই থাকে। এই তেল ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে এবং অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে ত্বককে সুরক্ষা করে। তাই এটি ত্বকের ক্যানসারও প্রতিরোধ করতে পারে।
চুলের বৃদ্ধিতে সহায়কঃ
সরিষার তেলে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ থাকে। বিশেষ করে উচ্চমাত্রার বিটা ক্যারোটিন থাকে এতে। বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন-এতে রূপান্তরিত হয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া এতে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিতে অনেক সাহায্য করে। এ ছাড়া প্রতি রাতে চুলে সরিষার তেল মালিশ করে লাগালে চুল কালো হয়।
See lessকম্পিউটার কি?
ঋণাত্মক পাই
গণকযন্ত্র বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে। কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট (compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্Read more
গণকযন্ত্র বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে।
কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট (compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।
See lessবাংলাদেশে প্রথম কখন কোন কম্পিউটার স্থাপন করা হয়েছিল?
ঋণাত্মক পাই
বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সূচনা হয় ষাটের দশকে এবং নববই-এর দশকে তা ব্যাপকতা লাভ করে। দশকের মধ্যভাগ থেকে এ দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার।Read more
বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সূচনা হয় ষাটের দশকে এবং নববই-এর দশকে তা ব্যাপকতা লাভ করে। দশকের মধ্যভাগ থেকে এ দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার। এটি ছিল আইবিএম (International Business Machines – IBM) কোম্পানির 1620 সিরিজের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)। যন্ত্রটির প্রধান ব্যবহার ছিল জটিল গবেষণা কাজে গাণিতিক হিসাব সম্পন্নকরণ।
See lessষাটের দশকে দেশে ও বিদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ ব্যাংক-বীমা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্রুত প্রসার ঘটতে শুরু করে; এবং এজন্য রুটিন হিসাবের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি প্রয়োজন হয়ে পড়ে হিসাবে দ্রুততা আনয়নের। বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে হিসাব পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। এসময় দেশের কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ব্যয়বহুল মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করে। ষাটের দশকের শেষ দিকে তদানীন্তন হাবিব ব্যাংক IBM 1401 কম্পিউটার এবং ইউনাইটেড ব্যাংক IBM 1901 কম্পিউটার স্থাপন করে। প্রধানত ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব-নিকাশের জন্য ব্যবহূত এসব কম্পিউটার ছিল তৃতীয় প্রজন্মের মেইনফ্রেম ধরনের।
স্বাধীনতার পূর্বে, ১৯৬৯ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে স্থাপিত হয় একটি IBM 360 কম্পিউটার। আদমজী জুট মিলেও এ সময় একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপিত হয়েছিল। সীমিত পরিসরে হলেও স্বাধীনতা পূর্বকালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল প্রভৃতি বিষয়ের পাঠ্যক্রমে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার-এর অন্তর্ভুক্তি শুরু হয়। ১৯৭২-এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নামক প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয় IBM 370, IBM 9100 এবং IBM 4341 প্রভৃতি বৃহৎ কম্পিউটার।
অনুকরণ ও অনুসরণ এর মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য আছে কি?
ঋণাত্মক পাই
অনেক ক্ষেত্রে 'অনুসরণ' ও 'অনুকরণ' শব্দ দুটিকে সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে শব্দ দুটির বিশদ ব্যবহারে কিছুটা পার্থ্যক্য রয়েছে। অনুকরণ হচ্ছে 'অনুরূপ-করণ'। সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে রকম কাজ করে, ঠিক একই রকম কাজ করাই হচ্ছে অনুকরণ। অর্থাৎ, 'নকল' বা 'সদৃশীকরণ' অর্থে 'অনুকরণ' শব্দটি ব্যবহRead more
অনেক ক্ষেত্রে ‘অনুসরণ’ ও ‘অনুকরণ’ শব্দ দুটিকে সমার্থক হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তবে শব্দ দুটির বিশদ ব্যবহারে কিছুটা পার্থ্যক্য রয়েছে।
অনুকরণ হচ্ছে ‘অনুরূপ-করণ’। সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে রকম কাজ করে, ঠিক একই রকম কাজ করাই হচ্ছে অনুকরণ।
অর্থাৎ, ‘নকল’ বা ‘সদৃশীকরণ’ অর্থে ‘অনুকরণ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। অনুকরণ করা ভালো নয়। এটি নেতিবাচকভাবে দেখা হয়।
পরীক্ষার হলে কারও খাতা দেখে অবিকল বা প্রায় অবিকল লেখা অনুকরণের পর্যায়ে পড়ে। আবার, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে চিন্তা-চেতনা নিয়ে কাজ করে, সেই চিন্তা-চেতনা অনুকরণ করাই হচ্ছে ‘অনুসরণ’।
অনুসরণ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সম্পর্ক দিয়েও কিছুটা ব্যাখ্যা করা যায়। ‘অনুগমন’ অর্থে ‘অনুসরণ’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
অনুসরণ, চিন্তার সঙ্গে নতুন চিন্তা যুক্ত করে। তাই এটি ইতিবাচক। উত্তরটি ভাল লাগলে অবশ্যই ভোট করবেন। ধন্যবাদ।
See lessSQL এর পূর্ণরূপ কি এবং SQL এর অংশ কি কি?
ঋণাত্মক পাই
SQL এর পূর্ণরূপ হলো Structured Query Language. SQL এর মূল সংগঠন তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা- 1. Select : Select কমান্ড লিখে তার পর বিভিন্ন ফিল্ডের নামগুলাে উল্লেখ করতে হয়। 2. From : যে ফাইল হতে রেকর্ড উত্তোলন করতে হয় সে ফাইলের নাম From এর পর উল্লেখ করতে হয়। 3. Where : Where কমান্ডের মাধ্যমে শর্ত উলRead more
SQL এর পূর্ণরূপ হলো Structured Query Language.
SQL এর মূল সংগঠন তিনটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা-
1. Select : Select কমান্ড লিখে তার পর বিভিন্ন ফিল্ডের নামগুলাে উল্লেখ করতে হয়।
2. From : যে ফাইল হতে রেকর্ড উত্তোলন করতে হয় সে ফাইলের নাম From এর পর উল্লেখ করতে হয়।
3. Where : Where কমান্ডের মাধ্যমে শর্ত উল্লেখ করতে হয়।
See lessডেল্টা এবং স্টার সিস্টেমের তুলনামূলক সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো কী?
ঋণাত্মক পাই
ডেল্টা সংযোগের সুবিধা: ক) অধিক পাওয়ার এবং অধিক কারেন্ট সম্পন্ন লোডের পরিচালনার ক্ষেত্রে র্ডেটা সংযোগ ব্যবহার করা হয়। খ) ডেল্টায় সংযুক্ত মোটর অধিক পাওয়ার গ্রহণ করে অধিক টর্ক উৎপন্ন করে চলতে পারে। গ) একই লোডে স্টারের পরিবর্তে ডেল্টায় যুক্ত করলে কম পাওয়ার গ্রহণ করে। ঘ) পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নয়নের জন্য ডেলRead more
ডেল্টা সংযোগের সুবিধা:
ক) অধিক পাওয়ার এবং অধিক কারেন্ট সম্পন্ন
লোডের পরিচালনার ক্ষেত্রে র্ডেটা সংযোগ
ব্যবহার করা হয়।
খ) ডেল্টায় সংযুক্ত মোটর অধিক পাওয়ার গ্রহণ
করে অধিক টর্ক উৎপন্ন করে চলতে পারে।
গ) একই লোডে স্টারের পরিবর্তে ডেল্টায়
যুক্ত করলে কম পাওয়ার গ্রহণ করে।
ঘ) পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নয়নের জন্য ডেল্টায় সংযুক্ত
ক্যাপাসিটর ব্যাংকের প্রতি ফেজের
ক্যাপাসিটেন্সের মান কম হয় এবং খরচ কম হয়।
ডেল্টা সংযোগের অসুবিধা:
ক) ডেল্টা সংযোগে কোন নিউট্রাল পয়েন্ট
থাকে না।
খ) ডেল্টায় কারেন্ট বেশি বিধায় অল্টারনেটরের
কয়েল মোটা তারের হতে হয়।
গ) ডেল্টা সংযোগে অল্টারনেটর , ট্রান্সফরমার
ওয়াইন্ডিং-এ তামার পরিমাণ বেশি লাগে ফলে খরচ
বেশি।
স্টার সংযোগের সুবিধা:
See lessক) স্টার সংযুক্ত সার্কিটে নিউট্রাল পয়েন্ট থাকায়
প্রয়োজনবোধে নিউট্রাল তার ব্যবহার করা যায়।
খ) স্টার সংযুক্ত লোডে , তার ব্যবহার করে ও
লোড পরিচালনা করা যায়।
গ) স্টার সংযুক্ত অল্টারনেটরের তার চিকন হলেই
চলে।
ঘ) স্টার সংযুক্ত সার্কিটের আউটপুটে বেশি
ভোল্টেজ পাওয়া যায়।
স্টার সংযোগের অসুবিধা:
ক) অধিক পাওয়ার এবং কারেন্ট সম্পন্ন লোড
পরিচালনার জন্য স্টার সংযোগ ব্যবহার যায় না।
খ) কম কারেন্ট পাওয়া যায়।
AC মোটর কি এবং মোটরের কি কি অংশ থাকে?
ঋণাত্মক পাই
মোটর একটি মেশিন, যার সাহায্যে ইলেকট্রিক শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় তাকে মোটর বলে। আবার যে মোটর AC কারেন্ট দ্বারা চলে তাকে এ. সি. মোটর বলে। AC মোটর দুই প্রকার। যথাঃ ১। সিনক্রোনাস মোটর ২। ইন্ডাকশন মোটর আবার ইন্ডাকশন মোটর দুই প্রকার। ১। স্কুইরেল কেজ ইন্ডাকশন মোটর ২। স্লিপ-রিং ইন্ডাকশনRead more
মোটর একটি মেশিন, যার সাহায্যে
See lessইলেকট্রিক শক্তিকে যান্ত্রিক
শক্তিতে রূপান্তরিত করা হয় তাকে
মোটর বলে। আবার যে মোটর AC
কারেন্ট দ্বারা চলে তাকে এ. সি.
মোটর বলে।
AC মোটর দুই প্রকার। যথাঃ
১। সিনক্রোনাস মোটর
২। ইন্ডাকশন মোটর
আবার ইন্ডাকশন মোটর দুই প্রকার।
১। স্কুইরেল কেজ ইন্ডাকশন মোটর
২। স্লিপ-রিং ইন্ডাকশন মোটর
০২ এর উত্তরঃ
ইন্ডাকশন মোটর নিচের অংশগুলো
দ্বারা গঠিত। যেমন-
১। স্টাটর
২। রোটর
৩। বিয়ারিং
৪। কুলিং ফ্যান
৫। ইয়োক
৬। টার্মিনাল বক্স
৭। নেম প্লেট
৮। এন্ড কভার
৯। বেড প্লেড
১০। শ্যাফট
১১। প্রিলোডিং রিং
১২। ফিটিং স্ক্রু
১৩। গ্রিজ পয়েন্ট
পাওয়ার সিস্টেমে SAS কী?
ঋণাত্মক পাই
SAS এর পূর্ণ রুপ হলো Substation Automation System । এটি এখন নতুন যে কোন গ্রীড বা পাওয়ার সিস্টেমে হরহামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি ও এর কারনে খরচ বাড়ছে, কিন্তু পরিশ্রম কমছে। এটা মূলত স্বয়ংক্রিয় ভাবে পাওয়ার সিস্টেমে নিয়ন্ত্রন, পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সাধারনত SAS, IntelRead more
SAS এর পূর্ণ রুপ হলো Substation Automation System । এটি এখন নতুন যে কোন গ্রীড বা পাওয়ার সিস্টেমে হরহামেশাই ব্যবহার করা হচ্ছে। যদি ও এর কারনে খরচ বাড়ছে, কিন্তু পরিশ্রম কমছে। এটা মূলত স্বয়ংক্রিয় ভাবে পাওয়ার সিস্টেমে নিয়ন্ত্রন, পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য সংরক্ষনের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
সাধারনত SAS, Intelligent electronic devices (IED) এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় ভাবে পাওয়ার সিস্টেমে নিয়ন্ত্রন, পর্যবেক্ষণ এবং তথ্য সংরক্ষনের কাজ করে থাকে।
SAS এর মাধ্যমে পুরো সাবষ্টেশনকে একটি কম্পিউটারের মাঝে আনা হয়। আপনি কম্পিউটার থেকে সার্কিট ব্রেকার, আইসোলেটর , ট্রান্সফরমার সবকিছু নিয়ন্ত্রন করা হয়ে থাকে। আপনার ক্লিক করে যেকোন ডিভাইসকে অন অফ করতে পারছেন। এছাড়া আপনার কম্পিউটারের মনিটরে যন্ত্রপাতির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষন করতে পারবেন। রিলে ফল্ট, প্রটেকশন ফল্ট, ওভারকারেন্ট ফল্ট সহ যে কোন টাইপের ফল্ট মনিটরে আপনি সহজেই দেখতে পারবেন। কোন প্যানেলে এই ফল্ট দেখা দিয়েছে, সেটাও আপনি দেখতে পারবেন।
এছাড়া কোন লাইনে বা ট্রান্সফরমারে বা কোন ফিডারে কত ভোল্টেজ, কারেন্ট, ফ্রিকুয়েন্সি সহ আরও অনেক তথ্য মনিটরেই দেখতে পারবেন। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ে যদি আমরা কোন ডাটাকে সেভ করতে চাই, সেটাও করা সম্ভব। অটোমেটিক ভাবে এটি ডাটা সংরক্ষন করে থাকে। এছাড়া যদি আমাদের কয়েক বছর আগেরও ডাটা প্রয়োজন হয়, তবু ও আবার কোন নির্দিষ্ট সময়ের, কার্ভের মাধ্যমে তা কয়েক মিনিটেই বের করে দেওয়া সম্ভব।
এছাড়া এটির সাহায্যে কেন্দ্রীয় ভাবে মনিটরিং ও করা সম্ভব। যেমনঃ আমাদের দেশে লোড মনিটরিং করে এনএলডিসি। চাইলে এনএলডিসি ও ঢাকায় বসে যে কোন ধরনের অপারেশন করতে পারবে তাদের নিজেদের প্রয়োজন মত। এটি একই সাথে কমিউনিকেশনেও কাজ করছে।
এটি এখন বাংলাদেশে নতুন গ্রীডগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
See lessএসি কারেন্ট এবং ডিসি কারেন্টের মধ্যে কোনটা বেশি বিপদজনক?
ঋণাত্মক পাই
আমরা অনেকেই মনে করি যে, সমান মানের এসি এবং ডিসি ভোল্টেজের শকের তীব্রতা একই হবে। আবার অনেকেই মনে করেন ডিসি কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হবে এসি কারেন্টের তুলনায়। কারন এসি কারেন্ট এ ফ্রিকুয়েন্সির জন্য নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা সহজ কিন্তু ডিসিতে সেটা সম্ভব নয়। কিন্তু আসল তথ্য হচ্ছে এসি কারেন্টের শকই বেশী অনুভূতRead more
আমরা অনেকেই মনে করি যে, সমান মানের এসি এবং ডিসি ভোল্টেজের শকের তীব্রতা একই হবে। আবার অনেকেই মনে করেন ডিসি কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হবে এসি কারেন্টের তুলনায়। কারন এসি কারেন্ট এ ফ্রিকুয়েন্সির জন্য নিজেকে বিচ্ছিন্ন করা সহজ কিন্তু ডিসিতে সেটা সম্ভব নয়।
কিন্তু আসল তথ্য হচ্ছে এসি কারেন্টের শকই বেশী অনুভূত হয় এবং বেশী প্রাণঘাতী এবং সেটা সেই ফ্রিকুয়েন্সির কারনেই। চলুন তাহলে দেখা যাক এর পেছনের কারন।
ইলেকট্রিক শক হলো একধরনের অনুভূতি যা আমাদের দেহের কোন অংশের ভেতর দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হবার কারনে ঘটে থাকে। এই শকড এর পরিমান নির্ভর করে বেশ কিছু ফ্যাক্টরের উপর। যেমন কারেন্টের ধরণ(ডিসি/এসি), ফ্রিকোয়েন্সি, ভোল্টেজ এর মাত্রা, দেহের কোন অংশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, প্রবাহের সময় এসব। 50/60Hz এর AC শকের অনুভূতি DC এর তুলনায় ৫গুন বেশী।
আবার 50/60Hz এর AC শকের অনুভূতি 5000Hz এর AC কারেন্টের চেয়ে ৬ গুন বেশী এবং ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ার সাথে সাথে শকড এর অনুভূতি কমতে থাকে।
এর কারন হলো পেশী নড়াচড়া করার জন্য আমাদের ব্রেইন স্নায়ুকোষের মাধ্যমে লো ফ্রিকুয়েন্সির ইলেকট্রিক সিগন্যাল পাঠিয়ে থাকে। আবার মানুষের হার্ট 60-100Hz ফ্রিকোয়েন্সিতে স্পন্দিত হয় যা ব্রেইন থেকে ইলেকট্রিক সিগনালের মাধ্যমে হার্টে পৌছে। তাই 50-60Hz এর কারেন্টের শক বেশী অনুভূত হয় কারন এটা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রের সিগন্যালিংকে বাধাগ্রস্থ করে!
ফলে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহে আপনি আপনার পেশীর উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলবেন।
সেক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছা থাকলেও বিদ্যুতায়িত বস্তু থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন না। আর হার্টের ভেতর দিয়ে 50-60Hz এর নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহ আপনার হার্টের নিয়মিত স্পন্দনকে নষ্ট করে দিবে যার ফলাফল হলো কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এ মৃত্যু।
তাই 50-60Hz AC কারেন্ট থেকে সবসময় সাবধান। সমান ভোল্টেজের ডিসি কারেন্ট থেকে এসি বিপজ্জনক হবার আরেকটি কারন হলো মানবদেহের ত্বক এবং গ্রাউন্ড ক্যাপাসিটেন্স এর মত কাজ করে। এই গুণের কারনে AC কারেন্ট ত্বক থেকে গ্রাউন্ডে সহজে প্রবাহিত হতে পারে কিন্তু DC কারেন্ট বাধাপ্রাপ্ত বেশী হয়।
উপরের চার্ট দেখলেই বুঝতে পারবেন সমপরিমান AC কারেন্ট অধিক বিপজ্জনক। ১৫০ পাউন্ড ওজনের এক ব্যক্তির পেইনফুল শকের জন্য 62mA DC কারেন্ট লাগে যেখানে AC এর ক্ষেত্রে সেটা মাত্র 9mA ই যথেষ্ট। আবার ফ্রিকোয়েন্সি 10KHz হলে সেটা হবে 55mA।
কারেন্ট প্রবাহে মানবদেহের মোট রেজিস্ট্যান্সের ৯৯% ই থাকে ত্বকে। মানবদেহের ড্রাই রেজিস্ট্যান্স যেখানে ১০০০০০ ওহম সেখানে দেহের ভেতরের রেজিস্ট্যান্স মাত্র ৩০০ ওহম। ত্বকে কোন ক্ষতের কারনে কারেন্ট দেহের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হলে তার পরিমাণ হবে অনেক এবং সেই শকড হবে বিপজ্জনক। হাই ভোল্টেজ AC এবং DC উভয়ই ত্বকের ব্রেকডাউন ঘটিয়ে ফেলে এবং দেহের ভেতর দিয়ে অধিক পরিমাণ কারেন্ট প্রবাহিত হয় যা বিপজ্জনক।
আর একটি ব্যাপার আপনারা সবই ই জানেন যে, এসি ভোল্টেজ / কারেন্ট পরিমাপ করা হয় rms এ। কিন্তু ডিসি পরিমাপ করা হয় পিক অথবা ম্যাক্সিমাম ভেলুতে।
আমরা জানি, V(peak) = 1.4142* V(rms)
See lessএজন্য বলা যায় একজন ব্যাক্তি যদি ডিসিতে ২২০V এ শক খায়, সে ২২০V এ ই শক খাবে। কিন্তু একজন ব্যাক্তি যদি এসিতে ২২০V এ শক খায়, সে সর্বোচ্চ ১.৪১৪২*২২০V = ৩১১V এ ই শক খাবে। আর ৩১১V তো ২২০ থেকে ডেফিনেটলি বড়। এজন্য এখানে ও বলা যায় যে, ডিসি থেকে এসি বেশি বিপজ্জনক।